হৃদয় হোসাইন,নিজস্ব সংবাদদাতা:
পাবনা'য় মুরগীর খামারের বর্জ্যমিশ্রিত দূষিত পানিতে কৃষকদের কৃষি জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুলেছেন পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নাধীন কদিম বগদি (চকপাড়া) গ্রামের কৃষক সম্প্রদায়। জানা যায়,কয়েক বছর পুর্বে পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নাধীন কদিম বগদি (চকপাড়া) গ্রামে সিরাজুল ইসলাম (৫৫), মিলন হোসেন (৪০), মনিরুল (৫০) ও মামুন (৩৫) পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠা করে চারটি মুরগির খামার। এতে এলাকার কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এসকল খামারে উৎপাদিত ডিম ও মাংশ (মুরগী) এলাকার চাহিদা পুরণ করে জেলা শহরের চাহিদা পুরণে ভুমিকা রাখে। যেকারণে মালিকদের এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানায় স্থানীয় নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। কৃষকদের দাবি প্রথম কয়েক বছর সবকিছু ঠিক থাকলেও ধীরে ধীরে এসকল খামার ব্যবসায়ীদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন তারা। খামারিদের অপরিকল্পিত পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা, সেচ্ছাচারিতা ও প্রভাব বিস্তার এখন তাদের ক্ষতির কারণ বলে জানান ভুক্তভোগী কৃষক গণ। ভুক্তভোগী কৃষক'দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসকল খামারিরা বর্জ্য ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করেই গড়ে তুলেছে বিশাল বিশাল খামার। তাদের খামারের বিষাক্ত বর্জ্যমিশ্রিত পানি যাচ্ছে কৃষকদের ক্ষেতে। দূষিত এই বর্জ্য মিশ্রিত পানি আবাদী ফসলী জমিতে ঢুকায় জমি তলিয়ে যাচ্ছে, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি এসব খামারের বর্জ্য মিশ্রিত পানির দূর্গন্ধ প্রকৃতিতে মিশে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। সেখানে উপস্থিত প্রায় ৩০ জন কৃষক গণমাধ্যম কে বলেন, কয়েক বছর পূর্বে আমাদের এসকল জমিতে বিঘা প্রতি ১৫-২০ মণ ধান হতো। সেখানে বর্তমানে ৫ মণ ধান আমরা পাই না। শুধুমাত্র তাদের নিয়ম বহির্ভূত খামারের জন্য নি:স্ব হয়ে যাচ্ছি আমরা ৩০ জন কৃষক। তাদের অভিযোগ,খামারের পানি আমাদের ফসলী জমিতে আসে, আমরা সিরাজুল কে ক্ষেতের আইল ঘেঁষে একটা দেওয়াল/ বাধ দিতে বলায় ইতিপূর্বে দুইজন কৃষক কে মারধর করেছে।অত্যান্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন বিচার পাওয়া যায় নি। অনতিবিলম্বে এসকল আবাদি জমির উৎপাদন রক্ষায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগী কৃষক গণ।কৃষি মাঠের পানি সরবরাহকারী জানান, দুই বছর ধরে খামারের বর্জ্য মিশ্রিত পানির কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় কৃষক'রা আমার পাওনা টাকা দিচ্ছে না, অত্যান্ত মানবেতর জীবনযাপন করছি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও খামার মালিক সিরাজুল ইসলাম, মিলন হোসেন,মনিরুল কে পাওয়া না গেলেও অপর খামার মালিক মামুন বলেন, আমার খামারের বর্জ্য মিশ্রিত পানি নিষ্কাশনের জন্য নিজেই জমি লিজ নিয়েছি। এরপরও যদি আমার খামারে পানিতে পার্শ্ববর্তী কৃষকের ক্ষতি হয় আমি ক্ষতিপূরণ দিব। তবে অন্য খামারিদের বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না। তবে সেখানে উপস্থিত থাকা খামার মালিক সিরাজুল ইসলামের ছিল সাদ ইসলাম (১৫) কৃষকদের হুমকি দিয়ে বলেন, সাংবাদিক'রা যাক সবগুলোকে হাসপাতালে পাঠাবো। খামার কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যে আতংকগ্রস্থ ভুক্তভোগী কৃষক গণ।এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ বলেন,বিষয়টি দু:খজনক। আসলে খামারিদের খামার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে এমন হচ্ছে। আমরা পরামর্শ দিয়েছি মুরগির বর্জ্য ছড়িয়ে না দিয়ে কমপক্ষে ১০-১৫ দিন সংরক্ষণ করতে। সেক্ষেত্রে জৈব পদার্থের সৃষ্টি হবে যা ফসলের জন্য অত্যান্ত উপকারী ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সোনারগাঁও শপিং কমপ্লেক্স ৪র্থ তলা, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ।
প্রকাশক
ও সম্পাদক: মোঃ ইমরান হোসেন
মোবাইল
: 01822219555
মেইল
: emranhossain9555gmail.com
বার্তা
সম্পাদক : মোঃ পারভেজ হোসেন
মোবাইল
: 01826178999
মেইল : parvezoks@gmail.com
Copyright © 2024 দেশ প্রকাশ. All rights reserved.