বেড়া(পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার বেড়ায় মোজাহার মোল্লা হত্যাকান্ড নিয়ে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ছাত্রলীগকে নিয়ে মিথ্যা বক্তব্যর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বেড়া উপজেলা ও পৌর শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার ২১নভেম্বর দুপুরে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক হয়ে ফকির প্লাজারের সামনে এসে পথ সভায় পরিণত হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এর সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক জব্বার হোসাইন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবু সাইদ। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন হান্নান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলম টুকু। আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মতিন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জি: মেসবাহ-উল হক। পৌরসভার প্যানেল মেয়র রাইসুল ইসলাম তারেক। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহব্বায়ক রেদোয়ান হাসান রুবেল,আলহেরা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন হোসেন জয় সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নিহত মোজাহার মোল্লা হত্যাকান্ড নিয়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত ১৭ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন পাবনা জেলাধীন বেড়া পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহব্বায়ক জাহিদুল ইসলামকে না পেয়ে ছাত্রলীগ নেতারা তার বৃদ্ধ পিতাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এই কথাটি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট, আমরা এই ভিত্তিহিন মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার সাথে বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা নাই। উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর বুধবার বিকেলে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে একটা ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের লোক জন এসে বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালায় এবং মোজাহার মোল্লা (৭২) কে একা পেয়ে এলোপাথারী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পারিবারিক দ্বন্দ্বকে দলীয় দ্বন্দ্বে আখ্যায়িত করায় উপজেলা ছাত্রলীগ সংবাদ সম্মেলন এর পর এবার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে । সভায় ছাত্রলীগ নেতারা নিহত মোজাহার মোল্লার আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে এই মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করে ছাত্রলীগের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে আরো কঠোর প্রতিবাদ জানানো হবে।
Leave a Reply