পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর-রশিদ এর উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী বাহিনী।শুক্রবার ৪ আগস্ট সকালে দুই পায়ে ও শরীরে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যানের উপর হামলার পর থেকেই ভয়ভীতিতে আছেন তার সমর্থক ও অনুসারীরা। নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নৌকা মার্কা প্রতীক পেয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ (খ) শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন অর-রশিদ (হারুন)।নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর হেরে যায় নৌকা মার্কার প্রার্থী হারুন। স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস মার্কার) হাফেজ হাফিজুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচন কালীন সহিংসতা কোনো ভাবেই কমছে না। এ পযন্ত একাধিক বার হারুনের বাড়ি ঘরে হামলা করা হয়েছে। এ বছর রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী তারিখ ভোরে হারুন এর বাড়ি ঘরে ভাংচুর চালায়। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে হারুন অর-রশিদ। নির্বাচনের পর থেকে একাধিক বার হামলা করা হয়েছে হারুন সমর্থকদের উপর।বর্তমান চেয়ারম্যানের চাপে কোন ঠাসা হারুন সমর্থকরেরা। অনেকে দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া। সহিংসতা দিন দিন বড় আকার ধারণ করছে। অস্বাভাবিক হচ্ছে ইউনিয়নের আইন-শৃঙ্খলা। নাগডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিম মন্ডল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানি বলেন,সকালে সোনাতলা বাজারে যাওয়ার পথে হারুন কে কয়েক জন ঘিরে ধরে আক্রমণ করে।দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় মারধর করেছে।দুই পায়ে ও শরীরে গুরুতর আহত।স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায় যারা মারধর করছে ওরা সবাই বর্তমান চেয়ারম্যান এর সর্মথক। ওদের সাথে চেয়ারম্যান এর গাড়ী চালায় সবুজ ছিলো।শুনলাম সবুজ কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করছে।বেশ কিছু দিন আগে আমার উপর হামলা করে সবুজ,নিষ্ঠুর সহ অনেকে।পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ এর নেতৃবৃন্দ বসে ওটার সমাধান করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হারুনের এক সমর্থক আরো বলেন,এভাবে যদি সবাই কে মারধর করা হয় তাহলে আমরা যাবো কোথায়,আমাদের অপরাধ টা কি।শেখ হাসিনা হারুন কে নৌকা মার্কা দিয়েছিলো আমরা নৌকা মার্কার নির্বাচন করেছি। নৌকা হেরে যাওয়ার পর থেকে আমরা বাড়ি ঘরে ঠিক মতো থাকতে পারি না।ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে আমাদের।প্রশাসনের কাছে আমরা নিরাপত্তার চাই। এ বিষয় হারুন এর পরিবারের সাথে কথা বললে তারা বলেন,আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হলে।অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য।এর সাথে যারা জড়িত আমরা তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি। বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সকালে কে বা কাহারা যেনো সাবেক চেয়ারম্যান হারুন এর উপর হামলা করেছে। শুনেছি সে আহত। এ বিষয় সাঁথিয়া থানার অফিসার ইর্নচাজ(ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনা স্থানে যাই। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন কে আটক করা হয়েছে।