প্রতিবেদক-হৃদয় হোসাইন:
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড,একটি জাতিকে উন্নয়নশীল করতে শিক্ষার বিকল্প নেই।আলু,পোটল,পেশাজ,মরিচ,তেল,এসব নিত্যপণ্য’র মতো শিক্ষাকে বাণিজ্য পণ্য বানিয়ে ফেলা হচ্ছে।চলছে শিক্ষার নামে গলাকাটা বাণিজ্য।খেটে খাওয়া দিনমুজুর মানুষের তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত সেশন ফি,মাসিক বেতন ৫০০/৬০০টাকা আদায় করছে পাবনার বেড়ার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।সেশন ফি ছাড়া সরকারি বই দেওয়া হয় না।এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি।নামীদামি একাধিক প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি নেয়া তালিকায় শীর্ষে।নবেম্বর মাসে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক শিক্ষিকার প্রতিনিধি দল মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেন নানান সুযোগ সুবিধায়।ফেব্রুয়ারী মাসে কথা কাজের কোনো মিল থাকছে না।হাজার টাকা ছাড়া কোনো কাগজ-পত্র দেয় না কতৃপক্ষ।
অভিভাবকদের অভিযোগ হাজার টাকা সেশন ফি সহ নানান ওযুহাতে রীতিমত ডাকাতি করছে নামিদামী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।সরকার নির্ধারিত নীতিমালার কেউই তোয়াক্কা করছে না।ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দৌরাত্ব সীমা অতিক্রম করেছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্তানদের ভর্তি করার পরে অনেকটা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।এত টাকা মাসিক বেতন দেওয়ার পর ও আবার যদি চার পাঁচ টা প্রাইভেট পড়তে হয় তাহলে স্কুলে কি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন প্রশসংসা পত্র দিতে নয়শত টাকা নিয়েছে আমার কাছ থেকে।সাটিফিকেট দেওয়ার সময় আবার কয় হাজার দিতে হবে।নামিদামী এসব স্কুল কলেজ গুলোতে একবার কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হলে পর্যায়ক্রমে নানা বাহানায় একের পর এক খাত দেখিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে।এসব খাত দেখলে যে কেউ পিলে চমকে যাবে।সরকারি বিদ্যালয়ের অধিনে বোর্ড পরিক্ষায় অংশ করে এসব বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন এর শিক্ষার্থীরা।সরকারি বিদ্যালয় কে হাত করে বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এসব কিন্ডারগার্টেন গুলো।আর সহকারী শিক্ষকদের মাসিক দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয়।যার কারণে প্রাইভেট পড়িয়ে জীবিকা নিবাহ করছেন শিক্ষকগণ।
Leave a Reply