নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়া টাইমস (আরটি) ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন জানিয়েছে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষ্ণ সাগরের শস্য রপ্তানির জন্য ইউক্রেনের জাহাজগুলোর জন্য রাশিয়ার দেওয়া করিডর সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না, এ বিষয়ে লিখিত নিশ্চিয়তা দিয়েছে কিয়েভ। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এমন লিখিত নিশ্চয়তার পর চুক্তিতে ফিরতে সম্মত হয়েছে মস্কো।
খাস্যশস্য রপ্তানিতে রাশিয়ার ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে এরদোয়ান জানান, আজ দুপুর ১২টার আগেই কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন হামলার পর কৃষ্ণ সাগর দিয়ে বেসামরিক জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কোনো জাহাজ খাদ্যশস্য নিয়ে কৃষ্ণ সাগর ত্যাগ করতে পারেনি। অথচ এ দুদেশ থেকেই গম, যব ও ভুট্টাসহ বিশ্বের খাস্যশস্যের ২০ ভাগের বেশির জোগান আসে। ফলে বিশ্বের দেশে দেশে বাড়তে থাকে খাদ্যপণ্যের দাম। আফ্রিকার অনেক দেশে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষের শঙ্কা। এ অবস্থায় গত জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় শস্য রপ্তানির চুক্তি করে মস্কো ও কিয়েভ।
রাশিয়ার অভিযোগ, গরিব দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যশস্য রপ্তানির কথা থাকলেও তা করা হয়নি। বরং ইউক্রেনের খাদ্যশস্য গেছে ইউরোপের অনেক ধনী দেশে। তা ছাড়া চুক্তির শর্তমতে, রুশ খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি থেকে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
এ অবস্থায় কৃষ্ণ সাগরে সেভাস্তোপোল বন্দরের রুশ নৌ-বহরে গত সপ্তাহে হামলা চালায় ইউক্রেন। জবাবে শস্য চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। রাশিয়া মনে করে, গত সপ্তাহের ড্রোন হামলার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভি জড়িত, যা অস্বীকার করেছে লন্ডন।
Leave a Reply